শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
সভায় না ডাকায় অধ্যক্ষকে রাবি শিক্ষকের ‘মারধর’

সভায় না ডাকায় অধ্যক্ষকে রাবি শিক্ষকের ‘মারধর’

সভায় না ডাকায় অধ্যক্ষকে রাবি শিক্ষকের ‘মারধর’
সভায় না ডাকায় অধ্যক্ষকে রাবি শিক্ষকের ‘মারধর’

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সেস (আরআইবি) এর অধ্যক্ষকে মারধর করে নথি ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর মতিহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ড. হাফিজুর রহমান।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম ড. এফএম আলী হায়দার। তিনি রাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আরআইবি’র পরিচালনা কমিটির সভা চলাকালে মারধর ও নথি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে এফএম আলী হায়দারসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষ ড. হাফিজুর রহমান।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. এফএম আলী হায়দার আরআইবি‘র সেমিনার কক্ষে সভা চলাকালে প্রবেশ করে রেজুলেশন বহিসহ সভার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনেই ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ ড. হাফিজুর রহমানকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে অধ্যক্ষ সভাকক্ষ থেকে বাইরে চলে যান। এ সময় মো. মুকুলসহ আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন শিক্ষক আলী হায়দার। এ ছাড়া অফিসে থাকা সাড়ে ৩ লাখ টাকাও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. এফএম আলী হায়দার বলেন, ‘আমি ওই ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একজন শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া দুইজন অভিভাবক সদস্যও রয়েছেন। আমাদের এই চারজনকে মিটিং সম্পর্কে কোনোকিছু না জানিয়ে চুরি করে মিটিং করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমি কাউকে সঙ্গে না নিয়ে একাই বাধা দিতে গিয়েছিলাম। এ সময় কাগজপত্র নিয়ে একটু ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তবে আমার বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি কিংবা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান) ইনস্টিটিউটের টাকা নিজের ব্যক্তিগত একাউন্টে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম বিক্রি বাবদ যে টাকা উঠেছিল মিটিংয়ে সেই টাকার হিসাবেও নয়ছয় করেছেন।’

অধ্যক্ষ ড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৩ জুলাই রাবি কর্তৃপক্ষ দুই বছরের জন্য তাকে (ড. আলী হায়দার) ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছিলেন। চলতি বছরের ২২ জুলাই তার দায়িত্ব শেষ হয়েছে। তিনি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে রাবি কর্তৃপক্ষের এনওসি ছাড়া তিনি ইনস্টিটিউটের কোনো সভাতেই অংশগ্রহণ করতে পারেন না। তাকে কোনো সভায় রাখলে সেটি প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক অবৈধ হবে। তাকে সভায় না রাখার কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সভা চলাকালীন আমার ওপর হামলা, অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং কাগজপত্রসহ সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘সেভাবে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার জানা মতে, ইনস্টিটিউটের চারজন পার্টনার রয়েছেন। তাদের মধ্যে মতের দ্বন্দ্বের একটি ঘটনা ঘটেছে। মিটিংয়ে একজন উপস্থিত ছিলেন না। এই নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply